আমরা নানান ধরণের আচার খেয়ে থাকি। তারমধ্যে গরমের সময়ে আমের শুরুতে প্রতিটি বাড়িতেই আমের আচার তৈরি করা হয়। মা, ঠাকুমার হাতের তৈরি সেই আচারের স্বাদ যেন অতুলনীয়। দেখলেই যেন জিভে জল নেমে আসে। আমের আচার(amer achar) সাধারণত কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করা হয়। এই কাঁচা আমের আচার(kacha amer achar) আমরা খুবই তৃপ্তি করে খাই। আমরা এখন বিভিন্ন কায়দায় ও বিভিন্ন মসলায় আচার তৈরি করে থাকি। কিন্তু ঠাকুমা – দিদাদের হাতের সেই স্বাদ এখন যেন পাওয়া যায় না। তবে আমার এই টক, ঝাল, মিষ্টি আমের আচারের(misti amer achar) রেসিপি আপনাদের সেই পুরোনো স্বাদ ফিরিয়ে দেবে। খুব সহজে আপনারা নিজেরাই এই আমের আচার রেসিপি(Amer Achar Recipe) তৈরি করে নিতে পারেন। দেখবেন এই আচার চেটে পুটে খেতে ইচ্ছে করবে। তাহলে দেখে নিন অল্প সময়ে তৈরি এই আমের আচার রেসিপিটি।
উপকরণ ➤
- আম – ৫০০ গ্রাম
- তেল – ৩ চামচ
- নুন – পরিমান মতো
- আখের গুড় – ৩০০ গ্রাম
- তেজপাতা – ২ টি
- পাঁচফোড়ন – ১ চা চামচ
- মেথি – ১ চা চামচ
- শুকনো লঙ্কা – ৫ টি
- মৌরি – ১ চা চামচ
- ধনে – ১চা চামচ
- জিরে – ১ চা চামচ
- হলুদ – ১ চা চামচ
আমের আচার তৈরি করার পদ্ধতি ➤
◍ প্রথমে কাঁচা আমগুলোকে টুকরো করে কেটে নিয়ে নুন ও হলুদ মাখিয়ে নেবো। তারপরে এই আমের টুকরোগুলোকে ৪-৫ ঘন্টার জন্যে রোদে শুকোতে দেব।
◍ এবারে একটি মসলা তৈরি করে নেবো। তারজন্যে একটি শুকনো খোলাই মেথি, শুকনো লঙ্কা, মৌরি, জিরে ও ধনে হালকা করে ভেজে নেবো। তারপরে ভাজা মসলাটি গুঁড়ো করে নেবো।
◍ এরপরে শুকোতে দেওয়া আমগুলোকে রোদ থেকে নিয়ে আস্তে হবে।
◍ আর আখের গুড় ২ কাপ জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখবো। যাতে গুড় গলে যায়।
◍ এবারে একটি কড়াইতে তেল দিয়ে তা ভালো করে গরম করে নিন। তেল ভালো মতন গরম হয়ে গেলে তাতে তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিয়ে দিন। ফোরণগুলো একটু ভাজা হয়ে গেলে তাতে আমগুলো দিয়ে দিন।
◍ আমগুলো নাড়াচাড়া করে গুলিয়ে রাখা আখের গুড় দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে একটু জল দিয়ে পারেন। এবার ঢাকা দিয়ে ৫ মিনিট হতে দিন।
◍ ৫ মিনিট পরে ঢাকা খুলে দেখুন আমগুলো নরম হয়ে গেছে। এবারে ভাজা মসলার গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন আমগুলোর সাথে। এরপরে আরো ২ মিনিটের জন্যে ঢাকা দিয়ে রাখুন।
◍ এবারে ঢাকা খুলে নিয়ে আমগুলো ভালো করে নেড়ে নিয়ে নামিয়ে ফেলুন। তারপরে ঠান্ডা করে কাঁচের বয়ামে রেখে দিন।
মনে রাখবেন ➤
◆ আমের আচার দীর্ঘ দিন ভালো রাখতে কাঁচের বয়ামে রেখে মাঝে মাঝে রোদে দেবেন।
◆ মসলাটি বেশি ভাজবেন না।
◆ গুড়ের পরিবর্তে চিনি ব্যবহার করা যাবে।
◆ আমের খোসা সমেত বা খোসা ছাড়া দুভাবেই আচার তৈরি করতে পারেন।
প্রশ্ন ও উত্তর ➤
◉ প্রশ্ন – আমের আচারের উপকারিতা কি ?
➢ উত্তর – আমের আচার খেলে হজমক্ষমতা বাড়ে ও সাথে খিদেও বাড়ায়।
◉ প্রশ্ন – আমের আচারে ভিনেগার দেওয়ার নিয়ম কি ??
➢ উত্তর – আমের আচারে ভিনেগার দিলে অনেকদিন আচার ভালো রাখা যাই কিন্তু ভিনিগার দিলে আচারে জল দেওয়া যাবে না, জল আচারকে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট করে দেয়।
দাদা তোমার শেয়ার করা আচার রেসিপিটি খুবই ভালো হয়েছে, আচার কেউ একটু মুখে নিলেই খুবই টেস্টি বলছে। থ্যাংকস এরকম আচার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ 🙏🙏🙏