বাঙালির শেষ পাতে দই(doi) না হলে একেবারেই চলে না। তবে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে টক দই খাওয়াটাই বেশি উপকারী। তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সহজ পদ্ধতিতে তৈরি টক দই রেসিপি(tok doi recipe)। এই পদ্ধতিতে আপনারা বাড়িতে বসেই দুধ দিয়ে টক দই বানানোর রেসিপি অনায়াসে তৈরি করে নিতে পারবেন। বাড়িতে তৈরি এই দই-এর গুণাবলী হবে বাইরে তুলনায় অনেক বেশি। এই দই(curd) হবে দোকানের মতোই আর আপনার স্বাস্থ্যও থাকবে সুরক্ষিত। তাহলে দেখে নিন আমার এই পারফেক্ট টক দই রেসিপি(perfect tok doi recipe)টি।
টক দই বানানোর উপকরণ ➤
- দুধ-১ লিটার
- গুঁড়ো দুধ-১/২ কাপ
- টক দই-২ চামচ
টক দই বানানোর পদ্ধতি ➤
🟣 প্রথমে একটি পাত্রে দুধ বসিয়ে দিয়ে ফোটাতে থাকব। দুধ ফুটতে শুরু করলে এক কাপ দুধ তুলে নিয়ে তার মধ্যে গুঁড়ো দুধ ভালো করে মিশিয়ে নেব।
🟣 এরপরে ফুটন্ত দুধের মধ্যে গুঁড়ো দুধের মিশ্রণটি মিশিয়ে নেব এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকবো। দুধ একটু ঘন হওয়া পর্যন্ত নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
🟣 দুধ ঘন হয়ে আসলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করে নেব নাড়াচাড়া করে।
🟣 এবারে টক দই থেকে জল ঝরিয়ে নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নেব।
🟣 তারপরে ঈষৎ উষ্ণ গরম দুধে টক দইয়ের মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে নেব।
🟣 এরপরে একটি মাটির পাত্রে দুধের মিশ্রণটি ঢেলে নিয়ে সেট হওয়ার জন্য ঢাকা দিয়ে রেখে দেব।
🟣 সাত থেকে আট ঘন্টা ঢাকা দিয়ে রেখে দেওয়ার পর দই জমে যাবে। তারপর দই ফ্রিজে রেখে দেব চার থেকে পাঁচ ঘন্টার জন্য। এতে দই আরও ভালো জমে যাবে।
🟣 তারপর ফ্রিজ থেকে দই বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
মনে রাখবেন ➤
◆ দই ঠান্ডা করার সময় অবশ্যই নাড়তে থাকবেন যাতে দুধের ওপর সর না পরে। কারণ সর থাকলে দই ভালো জমবে না।
◆ টক দই থেকে অবশ্যই জল ঝরিয়ে তারপরে ব্যবহার করবেন। না হলে দই থেকে জল ছাড়তে পারে।
◆ দই জমানোর সময় খেয়াল রাখবেন দুধ যেন পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে না যায়।
◆ দই জমানোর জন্য ঢাকা দিয়ে গরম কোন জায়গায় রেখে দেবেন। তারপর ফ্রিজে রাখবেন।
◆ দই জমানোর জন্যে মাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। এতে দই ভালো জমে।
প্রশ্ন ও উত্তর ➤
🔸প্রশ্ন- টক দই খাওয়ার উপকারিতা কি?
➨ উত্তর- টক দই থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পুষ্টিয় উপাদান ও উপকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীর ভালো রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে।
🔸প্রশ্ন- ওজন কমাতে টক দইয়ের উপকারিতা কি?
➨ উত্তর- টক দই থাকা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন আমাদের ওজন কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।
🔸প্রশ্ন- টক দই খাওয়ার নিয়ম কি?
➨ উত্তর- টক দই সাধারণত সকাল বা দুপুরে খাবারের পরে খাওয়া উচিত। টক দই কোন প্রকার মিষ্টি জাতীয় জিনিস ব্যবহার না করে শুধু খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
🔸প্রশ্ন- টক দইয়ের ক্ষতিকর দিক কি?
➨ উত্তর- টক দই-এর বিশেষ কোনো ক্ষতিকর দিক নেই তবে অধিক মাত্রায় টক দই খেলে বাতের ব্যথা, গ্যাস ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে।
বিঃদ্রঃ(Note) ➤
ভালো ভালো রান্নার রেসিপি, নতুন নতুন রান্নার রেসিপি, ঝটপট রান্নার রেসিপি, ঘরোয়া রান্নার রেসিপি, বাংলা রান্নার নতুন রেসিপি, সহজ রান্না রেসিপি, বিভিন্ন ধরনের রান্নার রেসিপি, মজার মজার খাবার রেসিপি, বাঙালি নিরামিষ রান্নার রেসিপি, নিরামিষ রান্নার রেসিপি, নিরামিষ সবজি রান্নার রেসিপি, বাংলা রান্নার রেসিপি, বাঙালি রেসিপি, বাঙালি রান্নার রেসিপি, চটজলদি খাবারের রেসিপি, বাংলা খাবারের রেসিপি, বাঙালি রান্না রেসিপি, নাস্তা, বাঙালির রান্নাবান্না রেসিপি, সহজ রান্নার রেসিপি খুব কম সময়ে সহজ পদ্ধতিতে বানানোর জন্য রান্নাঘর(Rannaghor) এর নিম্নলিখিত Social Media পেজগুলো ভিসিট করুন –
➡️Facebook ➡️Pinterest ➡️Twitter