খিচুড়ি রান্নার রেসিপি – প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে চাল ও ডালের এক মিশ্রিত রূপ খিচুড়ি(khichuri)। বর্ষার আমেজে ও হার কাঁপানো শীতে খিচুড়ি রেসিপি(khichuri recipe) খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আমাদের দিদা – ঠাকুমার হাতের তৈরি খিচুড়ি যেন আরো বেশি মাত্রায় স্বাদের হয়। আর সাথে থাকে যদি বেগুনি ও ইলিশ মাছ ভাজা তবে তো এই স্বাদের কোনো তুলনায় হবে না। তবে অঞ্চল ভেদে খিচুড়ি রান্নার রেসিপির ভিন্নতা রয়েছে প্রচুর। খিচুড়ির রকমারিতে ভিন্নতা থাকলেও প্রচলনে আছে বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশ।তাই এই নিরামিষ খিচুড়ি রান্নার রেসিপিটি রইলো আপনাদের জন্যে। খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার এই গোবিন্দ ভোগ চালের খিচুড়ি।
খিচুড়ি রান্নার উপকরণ ➤
- গোবিন্দভোগ চাল – ৫০০ গ্রাম
- মুগ ডাল – ৪০০ গ্রাম
- আলু – ২ পিস
- গাজর – ১ কাপ
- মটরশুটি – ১ কাপ
- ফুলকপি – ১ কাপ
- বরবটি – ১ কাপ
- মিষ্টি আলু – ১ কাপ
- কাঁচা লঙ্কা – ১০ টি
- টমেটো – ১/২ কাপ
- ধনেপাতা কুচি – ২ চামচ
- আদা বাটা – ১ চামচ
- জিরে বাটা – ১ চামচ
- নুন – পরিমান মতো
- হলুদ – ১ চামচ
- তেল – পরিমান মতো
- ঘি – ২ চামচ
- পাঁচফোড়ন – ১ চা চামচ
- তেজপাতা – ২ টো
- শুকনো লঙ্কা – ২ টো
- গরম মসলা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
খিচুড়ি রান্নার পদ্ধতি ➤
◍ প্রথমে একটি কড়াইতে শুকনো খোলায় মুগ ডাল ভেজে তুলে নিন।
◍ এরপরে কড়াইতে তেল গরম করে সমস্ত সবজিগুলো একে একে সামান্য নুন ও হলুদ দিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে নিন।
◍ এরইমধ্যে গোবিন্দভোগ চাল একটু বেছে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।এবার চাল থেকে জল ভালো করে ঝরিয়ে নিন।
◍ তারপর কড়াইতে তেল গরম করে নিন। তেল ভালো করে গরম হয়ে গেলে ফোরণে দিয়ে দিন তেজপাতা,শুকনো লঙ্কা ও পাঁচফোড়ন। ফোড়ন ভাজা হয়ে গেলে তাতে দিয়ে দিন গোবিন্দভোগ চাল ও ডাল। চাল ও ডাল ভালো করে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিন কিছু সময়।
◍ চাল ও ডাল ভাজা হয়ে গেলে তাতে দিয়ে দিন টমেটো কুচি, আদা বাটা, জিরে বাটা ও কাঁচা লঙ্কা। এই মসলার সঙ্গে চাল ও ডাল ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে দিয়ে দিন পরিমান মতো নুন ও হলুদ।
◍ পুরো মিশ্রণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে দিয়ে দিন পরিমান মতো গরম জল। এবারে ঢাকনা দিয়ে চাল ও ডাল ভালো করে সেদ্ধ হতে দিন।
◍ চাল ও ডাল বেশ খানিকটা সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে দিয়ে দিন ভেজে রাখা সবজিগুলো। সবজিগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আবারো ঢাকা দিয়ে দিন পুরোপুরি সেদ্ধ হতে।
◍ চাল,ডাল ও সবজিগুলো ভালো করে সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে ঘি, ধনেপাতা কুচি আর গরম মসলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিন। এখন এই মুগ ডালের খিচুড়ি পুরোপুরি তৈরি পরিবেশন করার জন্যে।
মনে রাখবেন ➤
◉ আপনারা মুগ ডালের পরিবর্তে অন্য ডাল ব্যবহার করতে পারেন।
◉ গোবিন্দভোগ চালের পরিবর্তে ভাত খাওয়ার চাল দিয়েও আপনারা এই স্বাদের খিচুড়ি রান্না(khichuri ranna)করতে পারেন।
◉ চাল ও ডালের পাত্রে কয়েকটি নিমপাতা বা শুকনো লঙ্কা রেখে দিন দেখবেন পোকা ধরবে না।
◉ আপনারা ওজন কমাতে চালের পরিবর্তে ওটসের খিচুড়ি তৈরি করে খেতে পারেন।
প্রশ্ন ও উত্তর ➤
◆ প্রশ্ন – খিচুড়ির উৎস কোথা থেকে ?
➛ উত্তর – ভারত থেকে খিচুড়ির উৎপত্তি।
◆ প্রশ্ন – খিচুড়িতে কতটা ক্যালারী থাকে ?
➛ উত্তর – এক থালা খিচুড়িতে ৮.৪ গ্রাম।
◆ প্রশ্ন – খিচুড়ির উপকারিতা কি ?
➛ উত্তর – খিচুড়ির মধ্যের চাল, ডাল ও সবজিতে আছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করা ও ভিটামিন যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।